আ’লীগ কর্মীকে গ্রেফতারে থানায় হামলা-ভাঙচুর, আহত ২৫

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় মোস্তাক শিকদার নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে গ্রেফতারের ঘটনায় থানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৬ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অর্ধশতাধিক টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, সকালে একটি হামলা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মোস্তাক শিকদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শৈলকূপা থানা ঘেরাও করে হামলা করে। তিনি ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের মৃত আব্দুস সাত্তার শিকদারের ছেলে। হামলাকারীরা মেয়র কাজী আশরাফুল আজম ও নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নুর সমর্থক বলে জানা গেছে।

শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, হামলাকারীদের ইটের আঘাতে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হন কনস্টবল তরিকুল ইসলাম বিনা, ইকবাল হোসেন, আব্দুস ছালাম, কালু তরফদার, ইমরান খান ও ডিএসবির এএসআই হারুনুর রশিদ।

আহতদের মধ্যে আব্দুস ছালাম ও ইকবাল হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

ঝিনাইদহ, আ’লীগ কর্মীকে গ্রেফতারে থানায় হামলা-ভাঙচুর, আহত ২৫

হাসপাতালে ভর্তি শৈলকূপা থানার কনস্টবল ইকবাল হোসেন জানান, আমরা ডিউটিতে ছিলাম। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ৫০০-৭০০ মানুষ থানা ঘেরাও করে। কিছুক্ষণের মধ্যে তারা থানায় হামলা শুরু করে। তারা ইট ও পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে।

হাসপাতালে চিকিৎসারত কনস্টবল কালু তরফদার জানান, আমি অন্য একটি স্থানে ডিউটিতে ছিলাম। এ সময় থানা থেকে ফোন করে জানানো হয় দ্রুত থানায় আসেন। থানার সামনে আসতেই দেখি মিছিল দিতে দিতে কয়েকটি ট্রাকে শত শত মানুষ থানায় হামলা করে।

সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল কর্মকর্তা ও পুলিশ লাইন হাসপাতালের দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক মেহেদী হাসান জানান, সদর হাসপাতালে ছয় পুলিশ সদস্য ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) ইমরান জাকারিয়া জানান, বর্তমানের পরিস্থিতি শান্ত আছে। ১০ মিনিটের এ হামলা ঘটনায় অন্তত ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়েছে।