কলকাতার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন পি কে হালদার
বাংলাদেশের আর্থিক খাত থেকে হাজার কোটি টাকা পাচারের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার প্রায় আড়াই বছর পর কলকাতার আলিপুর প্রেসিডেন্সি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তিনি কারাগার ত্যাগ করেন।
কারাগার থেকে বের হয়ে পি কে হালদার বলেন, “আমি এখন কিছু বলব না। পরে বলব। আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে পরে সব কিছু জানাব।” এরপর তিনি একটি গাড়িতে চড়ে স্থান ত্যাগ করেন।
- গত শুক্রবার কলকাতার একটি আদালত শর্তসাপেক্ষে তাঁকে জামিন মঞ্জুর করে।
- জামিনের জন্য ১০ লাখ রুপির ব্যক্তিগত বন্ড দিতে হয়।
- সোমবার বন্ড জমা দেওয়ার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।
- একই দিনে পি কে হালদারের সহযোগী উত্তম মৈত্রও কারাগার থেকে মুক্তি পান।
- তবে নথি ও বন্ড–সংক্রান্ত জটিলতায় আরেক সহযোগী স্বপন মৈত্র মুক্তি পাননি।
- এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
পি কে হালদারের অপরাধ ও গ্রেপ্তার
- পি কে হালদার বাংলাদেশে চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে দেশ ছেড়ে পালান।
- ২০২২ সালের মে মাসে ভারতের রাজারহাটের একটি হোটেল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
- তল্লাশি অভিযান চালিয়ে তাঁর পাঁচ সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২3 সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের একটি আদালত জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পি কে হালদারকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দেন।
পি কে হালদারের জামিন প্রাপ্তি ভারত ও বাংলাদেশের আর্থিক অপরাধ সম্পর্কিত বিচারিক প্রক্রিয়ায় নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে। মামলার পরবর্তী শুনানি ও আইনি কার্যক্রম নিয়ে দুই দেশের আইনজীবী ও সংস্থাগুলো সতর্ক নজর রাখছে।