গাজীপুরে শ্বশুরবাড়িতে জামাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার ৪
গাজীপুর মহানগরীর পুবাইল এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসা জামাইকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আজ শনিবার সকালে নিহত ব্যক্তি শ্বশুর, স্ত্রীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত রবিউল ইসলাম (২৮) টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের এরশাদনগর এলাকার তুহিন তালুকদারের ছেলে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শেরপুরের শ্রীবর্দী উপজেলার বালুঘাট গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে মো. আবুল কালাম আজাদ (শ্বশুর), তাঁর ছেলে হুমায়ুন কবির, তাঁর মেয়ে (নিহত রবিউলের স্ত্রী) মোসা. কারিমা আক্তার ও শরীয়তপুরের নড়িয়ার আইটপাড়া গ্রামের মো. বাবুলের ছেলে মো. লিটন মিয়া।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, প্রায় এক বছর আগে পুবাইলের সাতানিপাড়া এলাকায় বিয়ে করেন রবিউল। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। ৫ মে রাতে টঙ্গী থেকে এসে রবিউল তাঁর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ওঠেন। এ সময় স্ত্রীর সঙ্গে তিনি ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে গাছের সঙ্গে বেঁধে এলোপাতাড়ি মারধর ও পিটিয়ে জখম করেন। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা রবিউলকে গত বৃহস্পতিবার টঙ্গীর শহীদ আহ্সান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহত রবিউলের লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
নিহত ব্যক্তির শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় আজ সকালে নিহত রবিউলের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
পুবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান জানান, রবিউলের বাবা বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। আজ সকালে নিহত রবিউলের স্ত্রী, শ্বশুর, শ্যালক ও প্রতিবেশী লিটনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।