বিদ্যুৎহীন ছিলেন দেশের অর্ধেকের বেশি গ্রাহক

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে গতকাল দেশের বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। একটা সময় বিদ্যুৎহীন ছিলেন অর্ধেকের বেশি গ্রাহক। তবে ঝড়ের তীব্রতা কমে যাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকে।

বিদ্যুৎ বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রেমালের প্রভাবে দেশে প্রায় ২ কোটি ৭১ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েন। দেশে বিদ্যুতের মোট গ্রাহক ৪ কোটি ৭০ লাখ। সে হিসাবে প্রায় ৫৮ শতাংশ গ্রাহক রেমালের প্রভাবে বিদ্যুৎহীন ছিলেন।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) ৮০টি সমিতির আওতাধীন ২ কোটি ৬৬ লাখ ২৬ হাজার গ্রাহক রেমালের প্রভাবে বিদ্যুৎহীন ছিলেন। ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশনের (ওজোপাডিকো) আওতাধীন গ্রাহকদের মধ্যে বিদ্যুৎহীন ছিলেন ৪ লাখ ৫৩ হাজার। বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে তারা এসব এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। ঝড়ের তীব্রতা কমে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হতে শুরু করে। তবে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার সময় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঠিক কতজন গ্রাহককে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে, সেটি জানা যায়নি।

বিদ্যুৎ বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মধ্যে ৬৫টি সমিতির গ্রাহকদের সংযোগ আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৯১ কোটি ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকার ৩০টি সমিতির পোল নষ্ট হয়েছে ২ হাজার ৩৯২টি, ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে ১ হাজার ৯৮২টি, সংযোগ বিচ্ছিন্ন (তার ছিঁড়ে) হয়েছে ৬২ হাজার ৪৫৪ জায়গায়, ইন্সুলেটর ভেঙে গেছে ২১ হাজার ৮৪৮টি এবং মিটার নষ্ট হয়েছে ৪৬ হাজার ৩১৮টি।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে আরেক বিতরণ কোম্পানি ওজোপাডিকোর ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৮১ জন গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েন। এ কোম্পানির প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকার মতো। এর মধ্যে পোল নষ্ট হয়েছে ২০টি, পোল হেলে পড়েছে ১৩৫টি এবং বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়েছে অন্তত ২৪ কিলোমিটার এলাকায়। তাদের ১১ কেভি পোল ফিটিংস নষ্ট হয়েছে ১৪২ সেট, ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে ১২টি, ১১ কেভি ইন্সুলেটর নষ্ট হয়েছে ১৩৪টি।