ভ্যাট আদায়ে হয়রানি বন্ধের দাবি ব্যবসায়ীদের

ভ্যাট আদায়ের সময় ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ চল্লিশটি বাণিজ্য সংগঠন নিয়ে গঠিত বৈষম্যমূলক কর বৃদ্ধি প্রতিরোধ কমিটি। সংগঠনটির আহ্বায়ক সহিদুল হক মোল্লা ভ্যাট হার না বাড়িয়ে এনবিআরকে ভ্যাট আদায়ের আওতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ব্যবসায়ী পর্যায়ে সরবরাহের ক্ষেত্রে সকল পণ্যের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশই পুনর্বহাল করতে হবে।

অন্যথায় পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা কোনোভাবেই ভোক্তাদের কাছ থেকে আদায় করা সম্ভব নয়। তবে তার এই বক্তব্যের জবাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান জানান, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাট কমানোর বিষয়ে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হবে।

অনলাইনেই ব্যবসায়ীরা যাতে ভ্যাট দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কোনো কর্মকর্তা হয়রানি কিংবা ভ্যাট আদায়ের নামে কোনো কিছু দাবি করলে সঙ্গে সঙ্গে এনবিআরকে জানান। এমনকি তাদের কড়া ভাষায় জবাব দিন। নতুন বাংলাদেশে সবাইকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।

আরও পড়ুনঃ কেজিতে ৫ টাকা কমছে প্যাকেট চিনির দাম

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বৈষম্যমূলক কর বৃদ্ধি প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে সরবরাহের ক্ষেত্রে ভ্যাট কমানোর তাগিদ দিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। ওই বৈঠকে বৈষম্যমূলক কর বৃদ্ধি প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক সহিদুল হক মোল্লা ও সদস্য সচিব শহীদুল হক শহীদ ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর আগের মতো ৫ শতাংশ বহালের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এছাড়া বৈঠকে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের নেতা ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহ-সভাপতি মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সাবেক পরিচালক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী খোকন, আমির হোসেন নূরানী ও প্রায় চল্লিশটি বাণিজ্য সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এনবিআর চেয়ারম্যান ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, দেশের স্বার্থেই ভ্যাট ও ট্যাক্স আদায় করতে হয়। ট্যাক্স জিডিপিতে এখনো বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে।

বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের সাথে আগামী এপ্রিল মাসে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা জানতে চায় তোমাদের রাজস্ব আদায় এত কম কেন? আফ্রিকা অনেক ভাল করছে তাই আমরা ওখানেই টাকা দেব। এ কারণে ভ্যাট ও ট্যাক্স ´ আদায়ে আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর মতামতকে গুরুত্ব দিতে হয়। তবে ব্যবসায়ীরা যাতে স্বস্তি পান সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।

এনবিআর চেয়ারম্যানকে ইতোমধ্যে দেয়া লিখিত বক্তব্যে কর বৃদ্ধি প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক সহিদুল হক মোল্লা জানান, অনুচ্ছেদ (৩) এ ব্যবসায়ী পর্যায় সরবরাহের ক্ষেত্রে সকল পণ্যের ওপর মূল্য সংযোজন কর ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৭.৫ ভাগ করা হয়েছে। অংশীজনদের সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনা না করেই মূসক ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করায় আমরা ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

মাসুদুজ্জামান রাসেল