আম রপ্তানির নতুন আশা চীনে, সহায়ক পদক্ষেপ চায় ইপিবি
চীনে আম রপ্তানির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে রপ্তানির প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
সম্প্রতি চীনের আমদানিকারক ও বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের নিয়ে একটি সভা করে ইপিবি। সেখানে উঠে আসা বিভিন্ন সুপারিশ উল্লেখ করে এনবিআরকে চিঠি দেয়া হয়। এতে বলা হয়, চীনে আম রপ্তানির ক্ষেত্রে যেসব বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে, সে বিষয়ে ইপিবিকে বিস্তারিত জানিয়েছেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বাবাইলি গ্রুপ।
চীনের জৈব নিরাপত্তা আইন, খাদ্য নিরাপত্তা আইন, প্রাণিজ ও উদ্ভিদ পৃথক্করণ ও এতদসংক্রান্ত আইন, ফাইটোস্যানিটারি সনদ এবং জিএসিসির নিবন্ধন-সংক্রান্ত বিধিবিধানের কথা জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ দেশের টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট খাত গ্যাস সংকটে
আম রপ্তানির ক্ষেত্রে নীতিগত সুবিধা দেয়া দরকার বলে উল্লেখ করা হয় চিঠিতে। আমের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হবে। এক্ষেত্রে প্রতি কেজির দাম হতে পারে চার থেকে পাঁচ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৮৮ থেকে ৬১০ টাকা। ঢাকা-চায়না কার্গো ফ্লাইটে আম পরিবহন করা হবে। শুরুর দিকে চীনের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান তাদের বিমানে করে আম পরিবহনের কাজ করবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবলস অ্যান্ড অ্যালাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, থাইল্যান্ড, ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশে কার্গো ভাড়া বেশি। কার্গোতে স্পেসও পাওয়া যায় না। এসব বিষয়ে নজর দিতে হবে।
আম রপ্তানিকারকদের মতে, ফাইটোস্যানিটারি সনদ পেতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে যেতে হয়, যা রাজশাহী বা চাঁপাইনবাবগঞ্জের রপ্তানিকারকদের জন্য কষ্টসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ। সেজন্য লোকাল প্যাকিং হাউস থেকে এ সনদ সরবরাহের ব্যবস্থা করা দরকার।
চিঠিতে আরও জানানো হয়, আম রপ্তানিকারকদের চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমস অব চায়নার (জিএসিসি) গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে। প্রতিটি মৌসুমের আগে আম রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে একটি নিবন্ধিত তালিকা চীনা জিএসিসিকে দিতে হবে। জিএসিসি এ তালিকা পর্যবেক্ষণ ও অনুমোদনের পর নির্বাচিত রপ্তানিকারকদের নিবন্ধন দেয়া হবে।
>