ইয়েমেনে হত্যা থামান, ইসরায়েলের সমর্থন বন্ধ করুন : ট্রাম্পকে ইরানের হুঁশিয়ারি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক হুমকির জবাবে ইরান তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়েদ আব্বাস আরাঘচি যুক্তরাষ্ট্রের নীতির কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, ওয়াশিংটন ইসরায়েলকে সমর্থন করছে এবং ইয়েমেনে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অধিকার নেই ইরানের পররাষ্ট্রনীতিতে হস্তক্ষেপ করার, কারণ “সে যুগ ১৯৭৯ সালে শেষ হয়ে গেছে।”
শনিবার (১৫ মার্চ) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেন, যুক্তরাষ্ট্র হুথিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে এবং ইরানকে সতর্ক করে দেন যে, “হুথি সন্ত্রাসীদের প্রতি সমর্থন বন্ধ করতে হবে।”
ট্রাম্প আরও বলেন, তেহরান যদি যুক্তরাষ্ট্র বা তার নেতৃত্বকে হুমকি দেয়, তবে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। এর জবাবে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং দাবি করে, যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী নীতিই মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বাড়িয়ে তুলছে।
আরও পড়ুনঃ ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত ৩১
এদিকে আরাঘচি বলেন, গত বছর বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলকে ২৩ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে, যার ফলে ৬০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নীতিকে ‘গণহত্যা ও সন্ত্রাসবাদ’ সমর্থন করার শামিল বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, “ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন বন্ধ করুন, ইয়েমেনের জনগণকে হত্যা করা বন্ধ করুন।” ইরান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের শর্ত মেনে নেবে না এবং নিজেদের নীতি অনুযায়ী চলবে।
দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের মূল কারণ হিসেবে ইরান যুক্তরাষ্ট্রকেই দায়ী করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উত্তেজনা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও তিক্ত করবে এবং অঞ্চলে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। ইরানের সাম্প্রতিক বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে, যেখানে অনেকেই বলছেন— এই সংঘাত বন্ধে রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন।
>