মাসুদুজ্জামান রাসেল

ইরান-ইসরাইলের পাল্টাপাল্টি হুমকিতে উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি। সবশেষ অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি এর মাধ্যমে ইসরায়েলকে গুড়িয়ে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর জেনারেল ইব্রাহিম জাব্বারি।

ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সারও ইরানকে সমুচিত জবাব দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন। দু’দেশের উত্তেজনার মধ্যে জড়িয়ে পড়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র।
চীন গোপনে ইরানে মিসাইলের রসদ সরবরাহ করছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দারা।

এদিকে মাটির নিচে মিসাইলের এক শহর উন্মুক্ত করেছে তেহরান। আবার যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলে শক্তিশালী বোমার চালান সরবরাহ করেছে। আলোচনার মাধ্যমে পরমাণু শান্তিচুক্তি না হলে ইরানে সামরিক হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি কী?

ইসরাইলে ইরানের পরবর্তী অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি। এর আগে ২০২৪ সালের এপ্রিলে প্রথম এবং অক্টোবরে অপারেশন ট্রু প্রমিজ টু চালায় ইরান।

আরও পড়ুনঃ তালেবান ক্ষমতায় আসার তিন বছর, কেমন আছে আফগানিস্তান?

প্রথম ইসরাইলবিরোধী অভিযানে ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিতে তিন’শ এর বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। এর কয়েক মাস পরে আবারও ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা এবং গুপ্তচরবৃত্তির ঘাঁটি লক্ষ্য করে অভিযান চালায় তেহরান।

মূলত তখন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহ’র নেতা হাসান নাসরুল্লাহ এবং আইআরজিসি কমান্ডার আব্বাস নিলফরৌশানকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ওই অভিযান চালানো হয়।

এছাড়া ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর জেনারেল ইব্রাহিম জাব্বারি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি সঠিক সময়ে, নির্ভুলতার সঙ্গে পরচালিত হবে। যা ইসরাইলকে ধ্বংস করার পাশাপাশি তেল আবিব ও হাইফাকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।’

উন্নত এবং আধুনিক সামরিক সরঞ্জামের সাহায্যে ভয়াবহ চ্যালেঞ্জের মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত ইরান। দেশীয় অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম বিশ্বব্যাপী সামরিক অগ্রগতির সাথে সম্পূর্ণরূপে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং তাদের অত্যন্ত দক্ষ ও নিবেদিত প্রাণ বাহিনীর সাথে মিলে এগুলো আরও কার্যকর হয়ে ওঠে বলে মন্তব্য করেন মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি।