ইসরায়েলি হামলায় গাজার নতুন প্রধানমন্ত্রীও নিহত
গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ও গাজা উপত্যকার নতুন প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল বারহুম নিহত হয়েছেন।
গত মঙ্গলবার ইসরায়েলি হামলায় গুরুতর আহত হওয়ার পর তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। রোববার (২৪ মার্চ) হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে বিমান হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। হামাসের একটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক বিবৃতিতে বারহুমকে টার্গেট করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, ব্যাপক গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণের পর ‘সুনির্দিষ্ট অস্ত্র’ ব্যবহার করে হামলাটি চালানো হয়। তাদের দাবি, বারহুম হাসপাতালের ভেতর থেকে হামাসের হয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন। তবে হামাস এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলে নিন্দা জানিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ নাইজারে মসজিদে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় নিহত ৪৪
অপরদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের সার্জারি বিভাগে হামলায় অন্তত একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে চিকিৎসাকর্মীরাও রয়েছেন। হামলার পর সেখানে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটে এবং পুরো বিভাগটি খালি করে ফেলা হয়। সিভিল ডিফেন্স রেসকিউ এজেন্সি জানায়, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওপরও হামলা চালানো হয়েছে, যা চিকিৎসা কার্যক্রমে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটিয়েছে।
এর আগে, শনিবার খান ইউনিসের কাছে এক ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর আরেক সদস্য সালাহ আল-বারদাউইল নিহত হন। হামাস জানায়, ৬৫ বছর বয়সী বারদাউইল ও তার স্ত্রী আল-মাওয়াসি শরণার্থী শিবিরে নিহত হন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে যে তারা তাকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল এবং দাবি করেছে, তার নির্মূল হওয়া হামাসের সামরিক ও প্রশাসনিক সক্ষমতাকে আরও দুর্বল করবে।
গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিনই নতুন প্রাণহানি ঘটছে। যুদ্ধবিরতি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর থেকে ইসরায়েল নতুন করে হামলা জোরদার করেছে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন, যাতে যুদ্ধ বন্ধ হয় এবং নিরীহ মানুষের প্রাণ রক্ষা করা যায়।
গত ১৮ মার্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইশাম দা-লিসকে হত্যা করে ইসরাইয়েলি বাহিনী। এরপর তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন ইসমাইল বারহুম।
>