এক সপ্তাহে দেশে দুবার ভূমিকম্প অনুভূত, কিসের লক্ষণ
২০২৫ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে দুবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ৩ জানুয়ারি ও ৯ জানুয়ারির ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের বাইরে হলেও এর প্রভাব বাংলাদেশে টের পাওয়া গেছে
৩ জানুয়ারি:
-
- মাত্রা: রিখটার স্কেলে ৫
- উৎপত্তিস্থল: মিয়ানমারের হোমালিন।
- প্রভাব: মৃদু কাঁপুনির মাধ্যমে বাংলাদেশে টের পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবায়েত কবীর বলেন:
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশ থেকে দূরে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কম।কেবলমাত্র কাঁপুনিই টের পাওয়া গেছে।
৯ জানুয়ারির ভূমিকম্পের তীব্রতা বেশি হওয়ায় দূর থেকেও বাংলাদেশে অনুভূত হয়েছে।
দুটি ভূমিকম্পের এলাকা ভূমিকম্পপ্রবণ।
হিমালয় এবং মিয়ানমারের চ্যুতি অঞ্চলগুলোর টেকটোনিক বৈশিষ্ট্যের কারণে এই ভূমিকম্প ঘটেছে।
- পৃথিবীর উপরিভাগ বিভিন্ন টেকটোনিক প্লেট দিয়ে গঠিত।
- এই প্লেটগুলো একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষ করলে সৃষ্ট শক্তি সিসমিক তরঙ্গ আকারে ছড়ায়।
- শক্তিশালী তরঙ্গ ভূত্বককে কাঁপিয়ে ভূমিকম্পের সৃষ্টি করে।
- ৯ জানুয়ারির ভূমিকম্পের এলাকা হিমালয় ঘিরে অবস্থিত। এই এলাকা বড় ধরনের চ্যুতি থাকার কারণে ভূমিকম্পপ্রবণ।
ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলা
- বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা না হলেও এর নিকটবর্তী অঞ্চলগুলোতে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্প দেশের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
- ঝুঁকি হ্রাসের জন্য নিচের পদক্ষেপগুলো গুরুত্বপূর্ণ:
- অবকাঠামো শক্তিশালী করা: ভূমিকম্প সহনশীল ভবন নির্মাণ।
- সচেতনতা বৃদ্ধি: ভূমিকম্পের সময় করণীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ।
- জরুরি পরিকল্পনা: উদ্ধার কার্যক্রম এবং নিরাপত্তা প্রোটোকল উন্নত করা।