কোটা আন্দোলনে ঢাকায় ১৫ দিনে ৩০০০ হাজার জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ঢাকায় তিন হাজার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এডিসি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) কেএন রায় নিওটি জানান, ১২ থেকে ২৬ জুলাই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ২৯০ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
র্যাব সদর দফতরের মিডিয়া উইংয়ের এএসপি ইমরান খান জানান, শনিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়।
অভিযানের সময় ঢাকা থেকে ৭১ জনকে গ্রেফতার করা হয় এবং বাকিরা ঢাকার বাইরে থেকে বলে জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বৃহস্পতিবার বলেছেন, হামলাকারী ও নাশকতাকারীদের চিহ্নিত না হওয়া পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
রংপুর শিল্পকলা মিলনায়তনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘তারা যেই হোক না কেন, কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএমপি) প্রধান হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, কোটা আন্দোলনের নামে যারা নাশকতা করেছে এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের হত্যা করেছে, তারা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
শুক্রবার রাজধানীর ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডিবি প্রধান বলেন, যারা পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে, বেসামরিক মানুষ হত্যা করেছে, মেট্রোরেলসহ সরকারি স্থাপনায় নাশকতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা এই কর্মকাণ্ডের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং তাদের অর্থায়ন করেছেন বা আর্থিক লেনদেনের সুবিধা দিয়েছেন তারা যেখানেই থাকুন না কেন তাদের রেহাই দেওয়া হবে না।
সহিংস ছাত্র আন্দোলনের পর সারাদেশে অন্তত দুই হাজার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অবিলম্বে গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।
ফখরুল বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা জানতে পেরেছি আমাদের দুই হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি অবশ্য বলেন, সরকার কর্তৃক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় গ্রেপ্তার ও হতাহতদের সম্পর্কে তাদের কাছে এখনও সঠিক তথ্য নেই।
>