খরায় পুড়ছে চা বাগান, ক্ষতির মুখে উৎপাদন

চৈত্রের চলমান তাপপ্রবাহ আর অনাবৃষ্টিতে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী চুনারুঘাটের চা বাগানগুলোতে উৎপাদনে ধস নেমেছে। দীর্ঘস্থায়ী খরায় চা গাছের শিকড় শুকিয়ে গাছ মরে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বড় ধরনের লোকসানের শঙ্কা করছেন বাগান মালিকরা।

এদিকে উপজেলার একাধিক চা বাগান ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র তাপদাহ আর অনাবৃষ্টির কারণে চা গাছগুলো লালচে বর্ণ ধারণ করেছে। বেশির ভাগ চা বাগানে আসছে না নতুন কুঁড়ি। কোনো কোনো চা বাগানের গাছ ঝলসে গেছে।

নোয়াপাড়া চা বাগানের ডেপুটি ম্যানেজার সোহাগ মাহমুদ জানান, এ বছরের মতো লম্বা সময় ধরে খরা আগে হয়নি। এ অবস্থা চলতে থাকলে বাগান বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুনঃ ঈদের ছুটিতে সিলেটে ৩২৮ নরমাল ডেলিভারি

অন্যদিকে সুরমা চা বাগানের সিনিয়র ফ্যাক্টরি ম্যানেজার মিরন হোসেন বলেন, এখন ফ্যাক্টরিতে অনেক পাতা প্রক্রিয়াজাত করার সময়। কিন্তু বাগানে সেই অনুপাতে নতুন পাতা সংগ্রহ না হওয়ায় কিছুই করা যাচ্ছে না। তিনি জানান, অন্যান্য বছর এ সময় বাগানে প্রচুর সবুজ চা পাতা পাওয়া যেত। কিন্তু এখন খরায় চা গাছ টিকিয়ে রাখা কঠিন।

বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ইসমাইল হোসেন জানান, চা গাছ সর্বোচ্চ ২৯ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপ সহ্য করতে পারে। বর্তমানে তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি।

ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেডের (এনটিসি) মহাব্যবস্থাপক কাজী এমদাদুল হক বলেন, চলতি অর্থবছরে প্রকৃতির বৈরী আচরণের কারণে সবকিছু উল্টাপাল্টা হয়ে যাচ্ছে। চরম খরায় বাগান টিকিয়ে রাখা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ চা শিল্প প্রকৃতির দয়া বৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল।

মাসুদুজ্জামান রাসেল