গাজা-লেবাননে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহত ৪১

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা ও লেবাননে নতুন করে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় শনিবার (২৩ মার্চ) ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন আরও ৩৪ ফিলিস্তিনি, যার মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।

লেবাননে কথিত রকেট হামলার প্রতিশোধ নিতে বোমা বর্ষণ করেছে ইসরায়েল, যেখানে নিহত হয়েছে ৭ জন এবং আহত হয়েছে আরও ৪০ জন। এতে মধ্যস্থতাকৃত যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আল জাজিরা ও রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের টায়ার ও তুলিন এলাকায় হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, লেবাননের সীমান্তবর্তী শহর মেটুলায় তিনটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল, যার জবাবে এই পাল্টা হামলা। তবে হিজবুল্লাহ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এদিকে, গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে পাঁচ শিশুসহ ৩৪ ফিলিস্তিনি।

আরও পড়ুনঃ সীমান্তে রাখাইন জান্তা সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির তীব্র লড়াই

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলের আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৪৯ হাজার ৭৪৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৩ হাজার ২১৩ জন আহত হয়েছে। তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের দাবি, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০-এর বেশি, কারণ বহু মরদেহ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।

এদিকে, গাজার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ফিরে আসার পাশাপাশি গাজায় আটক বন্দিদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা শুক্রবার থেকে গাজা, লেবানন ও সিরিয়ায় ২০০টিরও বেশি স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে ইসরায়েলের লাগাতার হামলা। যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘনের ফলে ভবিষ্যতে এই সংঘাত আরও ব্যাপক হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

মাসুদুজ্জামান রাসেল