জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় কমিশন করছে সরকার

 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। তাঁর ভাষণে মূলত জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় নতুন একটি কমিশন গঠন, আগামী জাতীয় নির্বাচন, অর্থনৈতিক সংস্কার, গুমসংক্রান্ত তদন্ত ও শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদন এবং সামগ্রিক ঐক্যের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

প্রধান বিষয়গুলো:

  1. জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন:
    • রাজনৈতিক দলসহ সব পক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করবে।
    • ঐকমত্যের বিষয়গুলো চিহ্নিত করে বাস্তবায়নের সুপারিশ করবে।
    • কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিজেই পালন করবেন ড. ইউনূস।
  2. নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়:
    • ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে।
    • ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং নির্বাচনী সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
  3. গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন:
    • ১,৬৭৬টি গুমের অভিযোগের মধ্যে ৭৫৮টি পর্যালোচনা করা হয়েছে।
    • ৭৩% ফিরে এলেও ২৭% এখনও নিখোঁজ।
  4. শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি:
    • অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও লুটপাটের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
    • বার্ষিক উন্নয়ন ব্যয়ের অর্ধেক লুটপাট হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ।
  5. অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ:
    • শ্রমিকদের মজুরি ৯% বাড়ানো হয়েছে।
    • দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরবরাহ বাড়ানো ও শুল্ক ছাড়ের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
  6. জাতীয় ঐক্যের আহ্বান:
    • নারী, পুরুষ, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
    • নারীদের আন্দোলন ও আত্মত্যাগের ভূয়সী প্রশংসা করেন ড. ইউনূস।

ড. ইউনূস বিজয়ের মাসকে জাতীয় ঐক্যের মাস হিসেবে অভিহিত করে বিভাজন ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।