জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধে ১৪ দল যে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাকে স্বাগত জানায় গণজাগরণ মঞ্চ।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, দেরিতে হলেও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধে ১৪ দল যে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাকে স্বাগত জানায় গণজাগরণ মঞ্চ।
গণমাধ্যমসূত্রে আমরা জেনেছি, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্রের প্রেক্ষিতে সরকার জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ২০১৩ সালের ০৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া গণজাগরণ মঞ্চের ছয়দফা দাবির মধ্যে এটি ছিল অন্যতম। দীর্ঘ দশ বছরের অধিক সময় পর এই দাবি মেনে নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করার শুভবুদ্ধি যে সরকারের উদয় হয়েছে, তাকে স্বাগত জানায় গণজাগরণ মঞ্চ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জামায়াত নিষিদ্ধে সরকারের এই দীর্ঘ কালক্ষেপণ দেশকে অরাজকতার যে প্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছে, তার ভুক্তভোগী হচ্ছেন জনগণ। এটা সত্যিই আশ্চর্যের যে, আদালতের রায়সহ গণজাগরণ মঞ্চের সপ্রমাণ দাবির পরও জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও জঙ্গিবাদের বীভৎসতা বুঝতে সরকারের এত দীর্ঘ সময় লাগল। উচ্চ আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে যখন এই যুদ্ধাপরাধী সংগঠনটির নিবন্ধন বাতিল করেছিল নির্বাচন কমিশন, তখনই তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলে তা আরও কার্যকর হতো।
>