ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল, কবে আছড়ে পড়তে পারে?
ঝুঁকি বাড়ছে বাংলাদেশের উপকূল এলাকায়। সেখানে ফের আঘাত হানতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। বাংলাদেশ আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। সেটাই পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। এবারে এই ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসতে পারে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে। এই ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ বাংলাদেশের দিকেই আছে। জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক।
ঝুঁকিতে বাংলাদেশের উপকূল। কারণ সেখানে আবার আঘাত হানতে চলেছে ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তার আশপাশের পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। সেটাই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
কবে আঘাত হানবে?
আগামী ২৬ তারিখে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার উপকূলে। বুধবার আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, এই ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ বাংলাদেশের দিকেই আছে। তবে প্রতিনিয়ত সেটি গতিপথ পরিবর্তন করছে। তিনি ব্লেন, ‘নিম্নচাপে পরিণত না হওয়া পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাবে না। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তখন গতিপথ স্থির হবে। সেই সময় স্পষ্টভাবে বলা যাবে, এটা কোন এলাকায় বা স্থানে আঘাত হানতে পারে।’
এখনকার গতিপ্রকৃতি দেখে তাদের ধারণা শুক্রবারের মধ্যেই সেটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। সেদিন রাতে বা শনিবার সকালের দিকে এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। তখন এর নাম হবে ‘রিমাল’। ঘূর্ণিঝড় হলে তা ২৬ তারিখ আঘাত হানতে পারে। সুন্দরবন অঞ্চলে এর আঘাত হানার সম্ভাবনা বেশি বলেও জানান আবহাওয়াবিদরা।
হবে তুমুল বৃষ্টি
আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা জানান, নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। কারণ সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এর ফলে আগামী কয়েকদিন বাংলাদেশের সব বিভাগে বৃষ্টির আভাস দিয়েছে তারা। একই সঙ্গে কোথাও কোথাও শিলা ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। ওমর ফারুক বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় কোথায় আঘাত হানতে পারে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।’