নগদে ডিজিটাল জালিয়াতি: ২,৩৫৬ কোটি টাকার হিসাবের গরমিল

Here’s a SEO-friendly content draft along with comma-separated tags and keywords for the given topic:


বড় অঙ্কের ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ লিমিটেড’।

বাংলাদেশের মোবাইল আর্থিক সেবার অন্যতম প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর পরিচালনায় বড় ধরনের অনিয়ম ও জালিয়াতির তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। সাম্প্রতিক পরিদর্শনে নগদে ২,৩৫৬ কোটি টাকার গরমিল ধরা পড়ে। অভিযোগের মূল কারণ হলো ভুয়া পরিবেশক নিয়োগ, অতিরিক্ত ই-মানি তৈরি এবং অনুমোদনহীন আর্থিক লেনদেন।

অভিযোগের বিস্তারিত

১. অতিরিক্ত ই-মানি ইস্যু:
ডাক অধিদপ্তর ও নগদের চুক্তি অনুযায়ী, ব্যাংক ব্যালেন্সের সমপরিমাণ ই-মানি ইস্যু করা কথা ছিল। কিন্তু দেখা গেছে, অতিরিক্ত ৬৪৫ কোটি টাকার ই-মানি ইস্যু করা হয়েছে।

২. ভুয়া পরিবেশক নিয়োগ:
অনুমোদনহীন ৪১টি পরিবেশক হিসাব খোলার মাধ্যমে প্রায় ১,৭১১ কোটি টাকা অবৈধভাবে তোলা হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সরকারি ভাতা বিতরণের নামে এ জালিয়াতি হয়েছে।

৩. সরকারি ভাতা জালিয়াতি:
সরকারি ভাতাভোগীদের টাকা তিন দিনের মধ্যে উত্তোলন না হলে তা নগদের একাউন্টে তুলে নেওয়া হয়েছে।

প্রশাসনের পদক্ষেপ

নগদের প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার বিষয়টি তদন্তে ফরেনসিক নিরীক্ষার সুপারিশ করেছেন। ইতিমধ্যে ছয় কর্মকর্তার তালিকা তৈরি করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও রয়েছেন।

কারা জড়িত?

নগদের মালিকানায় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সংসদ সদস্যদের নামে মালিকানা থাকার তথ্য উঠে এসেছে।

ফরেনসিক নিরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা

এই জালিয়াতির পূর্ণাঙ্গ চিত্র উন্মোচন করতে একটি ফরেনসিক নিরীক্ষা অপরিহার্য বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এর মাধ্যমে আর্থিক অনিয়মের দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করা সম্ভব।