পর্যাপ্ত ঘুম হচ্ছেনা রমজানে ? জেনে নিন পর্যাপ্ত ঘুমের কিছু টিপস!
রোজার মাসে দীর্ঘ সময় ধরে উপোস রাখার কারণে অনেকেরই ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। রাতের ঘুমে অস্বস্তি, ক্লান্তি এবং দৈনন্দিন কাজের চাপ রোজা রাখা কঠিন করে তুলতে পারে।
তবে কিছু সহজ কৌশল এবং অভ্যাস মেনে চললে রোজায় পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে রোজায় ভালো ঘুম নিশ্চিত করা যাবে।
ঘুমের সময়সূচী ঠিক করা
ইফতার এবং সেহরির সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। সেহরি খাওয়ার পর একটু বিশ্রাম নিলেও ঘুমের পরিমাণ বাড়বে। যদি আপনার রাতের ঘুম একটানা না হয়, তাহলে ইফতার পরবর্তী সময়ে ১-২ ঘণ্টার জন্য বিশ্রাম নিন, যাতে শরীর পুনরায় শক্তি ফিরে পায়।
ভালো ঘরের পরিবেশ তৈরি করা
ঘরটিকে আরামদায়ক এবং শান্তিপূর্ণ রাখুন। বাতাস চলাচল করতে দেওয়া এবং ভালো আলো ব্যবহার করা উচিত। তাপমাত্রা যেন আরামদায়ক থাকে, খুব গরম বা ঠাণ্ডা না হয়। রোজার সময় ঘুমের জন্য পরিবেশ প্রস্তুত রাখলে ভালো বিশ্রাম পাওয়া যাবে।
স্বাস্থ্যকর খাবার নির্বাচন
সেহরিতে সঠিক খাবার নির্বাচন করা জরুরি। প্রোটিন (যেমন ডিম, দুধ) এবং জটিল শর্করা (যেমন ভাত, সেদ্ধ আলু) খান, যা আপনাকে দীর্ঘ সময় শক্তি দিবে। ইফতারেও ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন, সহজপাচ্য খাবার খান যাতে দ্রুত হজম হয় এবং ঘুমে বাধা সৃষ্টি না হয়।
আরও পড়ুনঃ ঝটপট ইফতারে সহজেই তৈরি করুন সুস্বাদু চিকেন কোফতা
হালকা ব্যায়াম করুন
রোজায় ব্যায়াম করা শরীরের জন্য উপকারী। তবে তা খুব ভারী না হওয়া উচিত। ৩০ মিনিটের হালকা ব্যায়াম যেমন হাঁটা বা যোগব্যায়াম করতে পারেন, যা রাতের ঘুমকে উন্নত করতে সহায়তা করবে। ইফতার বা সেহরির পর হালকা ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন, তবে ভারী শারীরিক কার্যকলাপ এড়িয়ে চলুন।
ঘুমের প্রস্তুতি
রোজায় ঘুমের আগে শরীর ও মনকে শিথিল করা জরুরি। গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস, যোগব্যায়াম বা ধ্যান করতে পারেন, যা ঘুমে সহায়তা করবে। শোয়ার আগে মোবাইল বা টেলিভিশন ব্যবহার না করা ভালো, কারণ এগুলি ঘুমের গুণগত মান কমিয়ে দেয়।
কিছু খাবার এড়িয়ে চলা
রোজার সময় কিছু খাবার এবং পানীয় এড়িয়ে চলুন যা ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। অতিরিক্ত তেল বা মিষ্টি খাবার, কফি এবং চা বেশি খেলে শরীর উত্তেজিত থাকে এবং ঘুমে সমস্যা হতে পারে। সেহরি বা ইফতারে এসব খাবার এড়িয়ে চলুন।
পর্যাপ্ত পানি পান করা
সেহরি এবং ইফতারের মধ্যে পর্যাপ্ত পানি পান করার চেষ্টা করুন। এটি শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে এবং রাতে ঘুমানোর ক্ষেত্রে আরামদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
রোজার সময়, যদি আপনি ঘুমের জন্য এসব উপায় মেনে চলেন, তবে শরীর এবং মনকে সুস্থ রাখতে পারবেন এবং রোজা রাখার অভিজ্ঞতা আরও সহজ হয়ে উঠবে।
>