‘ফ্যাসিবাদ চলবে না’, ট্রাম্পের খামখেয়ালিপনার বিরুদ্ধে স্লোগান বিক্ষোভকারীদের

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাসও পূরণ হয়য়ার আগেই তাকে ঘিরে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে দিকে দিকে। ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার আমেরিকান।

শনিবার (৫ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল থেকে ভিড় উপচে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে। আমেরিকার ৫০টি প্রদেশের অন্তত ১২০০টি এলাকায় শনিবার মিছিল এবং জমায়েত হয়েছে। বার্তা একটাই, ‘‘আমেরিকার কোনো রাজা নেই। আমেরিকায় ফ্যাসিবাদ চলবে না।’’ ট্রাম্প দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর এটাই আমেরিকায় সবচেয়ে বড় ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ।

একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর। প্রশাসনে পর পর কর্মীছাঁটাই থেকে শুরু করে অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানো, মার্কিন নাগরিকত্বের জন্য নতুন নিয়ম চালু কিংবা অতি সম্প্রতি তার শুল্কনীতি— শুধু আমেরিকায় নয়, সারা বিশ্বে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। যে কারণে শনিবার আমেরিকার বাইরে কোথাও কোথাও বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। ট্রাম্প-বিরোধী মিছিল বেরিয়েছে লন্ডন এবং বার্লিনেও।

আরও পড়ুনঃ মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩,৩৫৪ জন

সবচেয়ে বড় প্রতিবাদী জমায়েত দেখা গিয়েছে রাজধানী ওয়াশিংটনেই। হোয়াইট হাউস থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে ন্যাশনাল মলে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছেন। দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রতিবাদ জানাতে রাজধানীতে এসেছেন অনেকে।

তাদের ট্রাম্প-বিরোধী স্লোগানে মুখরিত হয়েছে রাস্তাঘাট। কিছু সংগঠনের হিসাব বলছে, শুধু ওয়াশিংটনেই ২০ হাজার মানুষ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জমায়েতে শামিল হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

ট্রাম্প অবশ্য কোনো বিরোধিতায় আপাতত কান দিচ্ছেন না। হোয়াইট হাউসে বসে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘আমার নীতি কখনও বদলাবে না।’’ সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের পণ্যে ‘পারস্পরিক শুল্ক’ আরোপ করেছেন ট্রাম্প। ভারতীয় পণ্যে নেওয়া হবে ২৬ শতাংশ শুল্ক। এর ফলে আমেরিকার অর্থনীতি ভেঙে পড়তে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ট্রাম্পের নীতির নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে গোটা বিশ্বের বাণিজ্যে। ইতিমধ্যে আমেরিকার পণ্যে চিন পাল্টা শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেছে।

মাসুদুজ্জামান রাসেল