বিচ্ছিন্নতা নয়, সামাজিক মিথস্ক্রিয়া বাড়ানোর তাগিদ

 

প্রথম আলো ট্রাস্ট আয়োজিত অনলাইন মাদকবিরোধী পরামর্শ সভায় বিশেষজ্ঞরা সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সরদার আতিক “কিশোর–কিশোরীরা কী কারণে বিষণ্নতায় ভোগে?”—এই বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন।

বিষণ্নতা এবং মন খারাপের পার্থক্য

ডা. আতিক বলেন, মন খারাপ ও বিষণ্নতা এক বিষয় নয়। দৈনন্দিন জীবনের বিচ্ছিন্নতা ও অপ্রাপ্তি থেকে সাময়িক মন খারাপ হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু যদি তা টানা দুই সপ্তাহ ধরে স্থায়ী হয়, তবে এটি বিষণ্নতার লক্ষণ।

বিষণ্নতার লক্ষণ

কিশোর–কিশোরীদের বিষণ্নতার লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • দিনের বেশির ভাগ সময় মন খারাপ থাকা
  • প্রাত্যহিক কাজে আনন্দ না পাওয়া
  • খাবারে অরুচি
  • অস্বাভাবিক ঘুম
  • কর্মদক্ষতা কমে যাওয়া

মাদকাসক্তির ঝুঁকি

বিষণ্নতার কারণে অনেকেই মাদক গ্রহণে ঝুঁকে পড়ে। মাদক সাময়িক আনন্দ দিলেও এটি দীর্ঘমেয়াদে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি বাড়ায়।

বিষণ্নতার কারণ

পারিবারিক দ্বন্দ্ব, মা–বাবার বিচ্ছেদ, আর্থিক অসংগতি এবং আত্মপ্রকাশের অক্ষমতার মতো বিষয়গুলো কিশোরদের বিষণ্নতার দিকে ঠেলে দেয়।

বিষণ্নতা কাটানোর উপায়

  • সামাজিক মিথস্ক্রিয়া বাড়ানো: মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা এবং সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করা।
  • পারিবারিক ভূমিকা: মা-বাবার সন্তানদের মানসিক অবস্থা বোঝা এবং তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখা।
  • আত্মবিশ্বাস: মানসিকভাবে দৃঢ় থাকা এবং নিজের প্রতি আস্থা রাখা।

অনুষ্ঠানটি প্রথম আলো ট্রাস্ট এবং প্রথম আলোর ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। সঞ্চালনা করেন মাহবুবা সুলতানা।