যে ৬টি লক্ষণ দেখলে বুঝবেন আপনার কিডনি ধ্বংসের পথে

কিডনি আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা রক্ত পরিষ্কার রাখাসহ শরীরের বর্জ্য অপসারণের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই জানেন না যে তাদের কিডনি কখন ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করেছে। কারণ কিডনি বিকল হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণগুলো এতটাই নিরব এবং ধীরগতির যে তা সহজে ধরা পড়ে না। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগেই যদি কিছু সতর্কতা লক্ষণ নিজে থেকেই বুঝে নেয়া যায়, তাহলে আগেভাগেই চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব।

কিডনি নষ্ট হওয়ার ছয়টি সাধারণ উপসর্গ তুলে ধরা হলো, যেগুলো বাড়িতে থেকেই পর্যবেক্ষণ করা যায়।

১. প্রস্রাবে পরিবর্তন

কিডনি সমস্যা হলে প্রস্রাবের পরিমাণ, রং, গন্ধ বা ঘনত্বে পরিবর্তন আসে। যদি হঠাৎ করে বেশি বা কম প্রস্রাব হয়, প্রস্রাবে ফেনা দেখা দেয় বা রক্তের চিহ্ন থাকে, তাহলে তা হতে পারে কিডনির অকার্যকারিতার লক্ষণ।

২. শরীরে ফোলাভাব

কিডনি ঠিকভাবে কাজ না করলে শরীরে অতিরিক্ত তরল জমে যায়, যার ফলে মুখ, চোখের নিচে, পা বা গোড়ালিতে ফোলাভাব দেখা দিতে পারে।

৩. অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা

কিডনি যখন ঠিকমতো রক্ত পরিশোধন করতে পারে না, তখন শরীরে বিষাক্ত পদার্থ জমে যেতে থাকে। এর ফলে সহজেই ক্লান্তি আসে, দুর্বল লাগে এবং কাজে মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়।

আরও পড়ুনঃ দেশে থ্যালাসেমিয়া নিয়ে প্রতি বছর জন্ম নিচ্ছে ৬ হাজার শিশু

৪. চামড়ায় চুলকানি ও শুষ্কতা

কিডনি ঠিকভাবে খনিজ পদার্থ ও তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে না পারলে ত্বকে শুষ্কতা ও তীব্র চুলকানি দেখা দেয়। এটি দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের অন্যতম উপসর্গ।

৫. ঘুমের সমস্যা

কিডনি সমস্যার কারণে শরীরে টক্সিন জমে গিয়ে তা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। অনেকেই রাতে প্রস্রাবের চাপ বা পায়ে খিচুনির মতো সমস্যায় ভোগেন, যা নিদ্রা ব্যাহত করে।

৬. ক্ষুধামান্দ্য ও বমি ভাব

কিডনির কার্যকারিতা কমে গেলে খাবারে রুচি নষ্ট হয় এবং প্রায়ই বমি বমি ভাব অনুভূত হয়। বিষাক্ত পদার্থ জমে যাওয়াই এর প্রধান কারণ।

উপরে বর্ণিত যেকোনো উপসর্গ যদি নিয়মিতভাবে দেখা দেয়, তবে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। প্রাথমিক অবস্থাতেই কিডনি রোগ শনাক্ত হলে তা নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হয়। কিডনি সুস্থ রাখতে প্রচুর পানি পান, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মাসুদুজ্জামান