রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা
রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় ছুরিকাঘাতে মো. রফিক ওরফে বোবা রফিক (৩০) নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। পরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে এ ঘটনা ঘটলেও মামলার পর শুক্রবার জানাজানি হয়। এদিকে হত্যায় জড়িত অভিযোগে মো. আসিফ ওরফে আসিক ওরফে ইব্রাহিম খলিলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এদিকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি গাজী শামীমুর রহমান বলেন, নিহত রফিকের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় ছিনতাই, চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত আটটি মামলা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, অপরাধ করে পাওয়া টাকার ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধে সহযোগীরাই তাকে ছুরিকাঘাত করে। ঘটনাস্থল তেজগাঁও থানা এলাকায় হওয়ায় তারা এ মামলার তদন্ত করবে।
তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল জান্নাত বলেন, নিহতের নানি বাদী হয়ে ইব্রাহিম খলিলসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও দু-তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। অন্য আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। সেই সঙ্গে হত্যার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে তদন্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারি ইন্টারপোলের
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কারওয়ান বাজারের চারুলতা রেস্তোরাঁর সামনে দাঁড়িয়েছিল রফিক। পূর্বশত্রুতার জেরে ওতপেতে থাকা খলিলসহ অজ্ঞাতপরিচয় দু-তিনজন চাপাতি, চাকুসহ তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা রফিককে কুপিয়ে জখম করে। তখন আশপাশের লোকজন ছুটে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে রফিককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, রফিকের মৃতদেহ কারওয়ান বাজার রেললাইন-সংলগ্ন এলাকায় নেয়া হয়। সেখানে তার স্বজন থাকেন। বৃহস্পতিবার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহতের সারাশরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। তার বাড়ি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে।
অন্যদিকে র্যাব-২-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি খান আসিফ তপু জানান, রফিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইব্রাহিম খলিলকে ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে তেজগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
>