রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের ২০২৫ সালের সম্মেলন

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের লক্ষ্যে জাতিসংঘ ২০২৫ সালে একটি উচ্চ-পর্যায়ের সর্ব-স্টেকহোল্ডার সম্মেলন আয়োজন করবে। বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রস্তাব গৃহীত করে।

এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হবে সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য একটি কংক্রিট, উদ্ভাবনী এবং সময়সীমাবদ্ধ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা। এতে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

ইউনূসের ভূমিকা এবং প্রস্তাবের সমর্থন

৭৯তম ইউএনজিএ অধিবেশনে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই সম্মেলনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ওআইসি ও ইইউ প্রস্তাবটি পেশ করে। রেজোলিউশনটি ১০৬টি দেশ সমর্থন করে, যা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে।

রেজুলেশনের মূল দিক

  • মিয়ানমারে রোহিঙ্গা ও সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্বীকৃতি।
  • রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য পরিবেশ তৈরির আহ্বান।
  • মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা।
  • ASEAN-এর পাঁচ-দফা ঐক্যমত্য পূরণে ভূমিকার প্রশংসা।

বাংলাদেশের অবস্থান

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত উল্লেখ করেন যে, দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের জন্য জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তিনি মিয়ানমারে নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো পদক্ষেপের আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য পর্যাপ্ত অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে এবং সংকটের মূল কারণ সমাধানে বাস্তব অগ্রগতি আনতে হবে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিশ্রুতি

রেজুলেশন গৃহীত হওয়া রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের টেকসই সমাধানে অঙ্গীকার প্রদর্শন করে।