সাত দেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে সোয়া ১৪ লাখ টন তেল

২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশ সাত দেশের আটটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪ লাখ টনেরও বেশি পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৯৬ কোটি মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা


তেল আমদানির বিশদ তথ্য

  • জ্বালানি তেলের পরিমাণ ও ধরন:
    • গ্যাস অয়েল: ৮ লাখ ৮০ হাজার টন
    • জেট এ-ওয়ান: ১ লাখ ৯০ হাজার টন
    • মোগ্যাস: ৭৫ হাজার টন
    • ফার্নেস অয়েল: ২ লাখ ৫০ হাজার টন
    • মেরিন ফুয়েল: ৩০ হাজার টন
  • সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো:
    • ভারত: আইওসিএল
    • চীন: পেট্রোচীনা, ইউএনআইপিইসি
    • ইন্দোনেশিয়া: বিএসপি
    • মালয়েশিয়া: পিটিএলসিএল
    • থাইল্যান্ড: পিটিটিটি
    • ওমান: ওকিউটি
    • সংযুক্ত আরব আমিরাত: ইউএনওসি

তেল কেনার পরিকল্পনা ও প্রক্রিয়া

সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) এই তেল আমদানি করা হবে। আমদানির দায়িত্বে থাকবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। ২০২৩ সালের ২৪ অক্টোবর অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে এ আমদানি পরিকল্পনার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।


সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল কেনা

সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল আমদানির বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে:

  1. সয়াবিন তেল:
    • পরিমাণ: ১ কোটি ১০ লাখ লিটার
    • সরবরাহকারী: সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড
    • ব্যয়: ১৮৯ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা
    • প্রতি লিটার দাম: ১৭১ টাকা ৯৫ পয়সা
    • ব্যবহৃত হবে: টিসিবির পরিবার কার্ডধারীদের জন্য ভর্তুকি মূল্যে বিক্রিতে
  2. মসুর ডাল:
    • পরিমাণ: ১০ হাজার টন
    • সরবরাহকারী: শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ
    • ব্যয়: ৯৫ কোটি টাকা
    • প্রতি কেজি দাম: ৯৪ টাকা ৯৫ পয়সা

তেল আমদানিতে বিপুল ব্যয় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

ভর্তুকি মূল্যে তেল ও ডাল বিক্রি নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সহায়ক হবে।

বিভিন্ন দেশের ওপর নির্ভরশীলতা বহুমুখী বাণিজ্যিক সম্পর্ককে সুসংহত করবে।

SEO কীওয়ার্ড:
মেটা ডেসক্রিপশন: