সিরিয়ার দারা শহর সরকারী নিয়ন্ত্রণ থেকে ছিটকে গেল
সিরিয়ার দারা শহর, যাকে গৃহযুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে “বিপ্লবের দোলনা” বলা হতো, বিদ্রোহীদের দখলে চলে গেছে। এই ঘটনাটি রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদের শাসনের জন্য বড় একটি ধাক্কা।
2011 সালে আসাদ-বিরোধী গ্রাফিতি লেখার অভিযোগে কয়েকজন কিশোরকে আটক ও নির্যাতনের পর দারায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। এই বিক্ষোভই ধীরে ধীরে দেশব্যাপী গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়।
ব্রিটেন-ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি এখন দারা প্রদেশের ৯০% এলাকার উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। সরকারী বাহিনী ক্রমাগত পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে।
- ইসলামপন্থী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী জোট সাম্প্রতিক সময়ে আলেপ্পো এবং হামা শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
- হোমস শহরের কাছাকাছি বিদ্রোহীরা অবস্থান নিয়েছে।
- বিদ্রোহীদের প্রধান লক্ষ্য আসাদ সরকারকে উৎখাত করা।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
- তুরস্ক, ইরান, এবং রাশিয়া কাতারে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
- ইরান আসাদ সরকারকে সমর্থন করার অঙ্গীকার করলেও সাম্প্রতিক সময়ে কিছু সামরিক কর্মী প্রত্যাহার করেছে।
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতের রাজনৈতিক সমাধানের উপর জোর দিয়েছে।
স্থানীয় পরিস্থিতি
- দারা, আলেপ্পো, এবং হামা থেকে আসাদপন্থী বাহিনীর প্রত্যাহারের ফলে এলাকাগুলোতে অস্থিরতা বেড়েছে।
- হোমস শহরে আসাদপন্থী আলাউইট সম্প্রদায়ের লোকজন বিদ্রোহীদের অগ্রগতিতে আতঙ্কিত হয়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
- সিরিয়ার বাইরে থাকা অনেক নাগরিক এই ঘটনাকে শাসনের অবসানের সম্ভাব্য সূচনা হিসেবে দেখছে।
বিদ্রোহ ও আসাদ সরকারের ভবিষ্যৎ
সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি গৃহযুদ্ধের নতুন মাত্রা নির্দেশ করে। বিদ্রোহীদের সামরিক অগ্রগতির পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক সমর্থনের অভিমুখ পরিবর্তনের সম্ভাবনাও লক্ষণীয়।