সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের ১৩২ তম জন্মদিন আজ।

টিলা বেষ্টিত চারদিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ১২৪ একর আয়তনের এই কলেজটি বাংলাদেশ তথা ভারত উপমহাদেশের প্রাচীন একটি বিদ্যাপীঠ, যেটি (১৮৮৬ সনে) প্রথমে স্কুল রূপে প্রতিষ্ঠিত হলেও পরবর্তীতে ১৮৯১ সনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক এফ.এ. শ্রেণি চালুর অনুমতি পেলে ১৮৯২ সালের ২৭ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল।
সিলেটের রায়নগরের তৎকালীন জমিদার বাবু মুরারিচাঁদ রায় ‘র সন্তানহীনা কন্যা ব্রজসুন্দরী দেবীর পালিত পুত্র রাজা গিরিশ চন্দ্র রায় তাঁর পিতামহ বাবু মুরারিচাঁদ রায়ের স্মৃতির মোহনায় তৎকালীন গোবিন্দচরণ পার্কের (বর্তমান হাসান মার্কেট) পাশে ১৮৮৬ সনে মুরারিচাঁদ উচ্চ বিদ্যালয় নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। পর্যায়ক্রমে রাজা স্কুলটিকে কলেজ পর্যায়ে উন্নীত করণের লক্ষে বিভোর হোন। ১৯০৮ সালে স্কুলটি সরকারি অনুদান লাভ করে।

মনোরম দৃশ্য সংবলিত সবুজে আচ্ছাদিত এই কলেজের নির্মাণশৈলী যেকোনো কাউকে মুহূর্তেই মুগ্ধ করবে। পুরোনো প্রতিটি ভবন নির্মাণে ব্যবহৃত সামগ্রী, কারুকার্য ও নান্দনিক নকশায় ফুটে উঠেছে তৎকালীন বাংলা এবং আসামের মিশ্রিত রূপ।প্রকৃতিঘেরা সবুজের সমারোহ দৃষ্টিকাঁড়ানান্দনিক এই ক্যাম্পাস লাল-সাদা পদ্মফুল ও পূর্ণ জলকনায় আচ্ছাদিত পুকুরটিকে বুকে আগলে রেখে সাচ্ছন্দচিত্তে প্রতিনিয়ত বয়ে চলেছে।

আজ থেকে প্রায় ১১ যুগ আগে ১৮৯২ সনের ২৭ জুন রাজা গিরিশ চন্দ্র রায় তাঁর পিতামহ মুরারিচাঁদের নামে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন।