হবিগঞ্জে পঞ্চায়েত সমিতির ঘর দখল নিয়ে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার ও গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির ঘর দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের নোয়াগড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গুরুতর আহত অবস্থায় পাঁচজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নোয়াগড় গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি প্রতিবছর আশপাশের জমি, পুকুর ও ডোবা ইজারা দিয়ে থাকে। সমিতির তহবিলে বেশ কিছু টাকাও রয়েছে। এতদিন সমিতির ঘরের নিয়ন্ত্রণ ওই গ্রামের বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান মেম্বারের কাছে ছিল। সম্প্রতি লতিফুর মেম্বার ও বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন তাকে বাধা দেন ও সমিতির হিসাব চান। এর পরই দু’পক্ষের বিরোধ জোরদার হয়।
গত কয়েক দিন ধরে এ নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জের ধরে গতকাল সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় মনু মিয়া, নিহাদ, ইসরাত, শফিক মিয়া, আবু সাঈদ, তসকির মিয়া, সাদ্দাম, মরিয়ম আক্তার, জবেদা, মাছুম, শাহিন, সাব্বির, জমিলা খাতুন, আলি নুর ও ওয়াহিদুরকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুনঃ সামান্য বৃষ্টিতেই মহাসড়কে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগ
আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঁচজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে শাহজাহান মেম্বারের পক্ষের লোক সিরাজুল ইসলাম সেলিম বলেন, বহু বছর ধরে শাহজাহান মেম্বার ও আক্তার হোসেনের লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলছে। সম্প্রতি লতিফুর মেম্বার এলাকার নতুন সর্দার হওয়ার পর থেকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে থাকেন। এ নিয়ে বিরোধ চাঙ্গা হয়।
এ ব্যাপারে লতিফুর রহমান মেম্বার বলেন, শাহজাহান মেম্বার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের করা ৯ হত্যা মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে একাধিক ওয়ারেন্ট রয়েছে। তবুও তাকে গ্রেপ্তার করছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ নিয়ে কিছুদিন আগে এলাকাবাসীকে নিয়ে মানববন্ধন করলে ক্ষিপ্ত হয় শাহজাহান বাহিনী। আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি এবিএম মাঈদুল হাছান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
>