হরিয়ানায় পুলিশের কাঁদানে গ্যাসে পণ্ড কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের শম্ভু সীমান্ত আজ শনিবার কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিশ্রুতি পূরণের দাবিতে ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলনে নামা কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে হরিয়ানা পুলিশ। কৃষকদের ১৭ দফা দাবি আদায়ে আয়োজিত এই পদযাত্রা শেষ পর্যন্ত স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছেন কৃষকরা।
আন্দোলনের পটভূমি
২০২০-২১ সালে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সফল হওয়া কৃষকরা এবার ন্যূনতম সমর্থন মূল্য (MSP) নিশ্চিত করার দাবি নিয়ে পথে নেমেছেন। কৃষকরা চান, একটি আইন করে সরকার কৃষিপণ্যের ন্যূনতম দাম নির্ধারণ করবে এবং সেই দামে কৃষিপণ্য ক্রয়ের নিশ্চয়তা দেবে।
কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এবং আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানানোয় উত্তর ভারতের কৃষকরা আবার আন্দোলনে নেমেছেন।
শম্ভু সীমান্তে সংঘর্ষ
শনিবার দুপুরে পাঞ্জাব থেকে শুরু হওয়া কৃষকদের পদযাত্রা হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের মধ্যবর্তী শম্ভু সীমান্তে পৌঁছালে হরিয়ানা পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। পুলিশ ও কৃষকদের মধ্যে প্রায় ৪০ মিনিট আলোচনা হয়।
কৃষকরা এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে। এতে বেশ কিছু কৃষক আহত হন বলে পিটিআই জানিয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
হরিয়ানার আম্বালা জেলা প্রশাসন ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করে, যা পাঁচজনের বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ করে। তবে শম্ভু সীমান্তে জড়ো হওয়া হাজারো কৃষকের গ্রেপ্তার সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
কৃষকদের দাবিগুলো
কৃষকদের ১৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:
- MSP নিশ্চিত করার জন্য আইন প্রণয়ন
- কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের আলোচনা
- কৃষি উৎপাদনে ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা
- কৃষিপণ্যে কর কমানো
পুলিশ ও প্রশাসনের বক্তব্য
পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লি থেকে অনুমতি পেলে কৃষকদের পথ আটকানোর প্রয়োজন নেই। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে জমায়েত ঠেকাতে তাঁরা বাধ্য হয়েছেন।
শেষ খবর
আজকের কর্মসূচি স্থগিত করেছেন কৃষকরা। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।