১০টি জেলায় ৩৬ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত, দুইজনের মৃত্যু হয়েছে

গত কয়েকদিন ধরে ভারত থেকে আসা পানি এবং অবিরাম বৃষ্টির কারণে 10টি জেলায় চলমান বন্যায় দুইজন মারা গেছে এবং 36 লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জারি করা বন্যার সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, বন্যায় ফেনীতে একজন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।

চলমান বন্যায় 10টি জেলার 65টি উপজেলার 495টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং 5,86,040 পরিবার আটকা পড়েছে এবং 36,45,552 জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ফেনী, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট ও ​​লক্ষ্মীপুর জেলা ২০ আগস্ট থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মোট 82,694 জন এবং 7,755 গবাদি পশুকে 2,246টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এবং 506টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে এবং এর মধ্যে 492টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কাজ করছে।

নগদ ৩,৩২,০০,০০০ টাকা, ১৯,৬৫০ টন চাল এবং ১৫,০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে।

তথ্য ও সহায়তা প্রদানের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর 0255101115।

বন্যা কবলিত জেলার জেলা প্রশাসকদের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী, সেনাবাহিনী, মেডিকেল টিম এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ফেনীর বন্যা কবলিত এলাকায় উদ্ধার কাজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে।

সেনাবাহিনী তাদের ১৬০ সদস্য ও ৪০টি উদ্ধারকারী জাহাজ ফেনীতে পাঠিয়েছে। এছাড়া একটি পানি শোধনাগার স্থাপন করা হয়েছে। নৌবাহিনীর ৭১ সদস্য ও আটটি উদ্ধারকারী জাহাজ কাজ করছে। এছাড়া আরও নৌযান আনা হয়েছে এবং বিজিবি সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়েছে।

বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে রাজধানী ও ময়মনসিংহ জেলাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর কারণে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য জরুরি সতর্কতা জারি করেছে।

“সক্রিয় বর্ষার কারণে আজ সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে,” সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে।

ভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।