ইরানি সংবাদমাধ্যমে ইলন মাস্ক ও রাষ্ট্রদূতের বৈঠক নিয়ে বিভাজন

জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাইদ ইরাভানি এবং প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের মধ্যে নিউইয়র্কে একটি বৈঠক ইরানি সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা এবং বিভাজন সৃষ্টি করেছে।

সংস্কারপন্থী সংবাদমাধ্যমগুলো এই বৈঠককে ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাদের মতে, এটি ইরান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক উন্নতির একটি সম্ভাব্য পদক্ষেপ। হাম মিহান দৈনিক জানিয়েছে, “ইরানের কূটনৈতিক কৌশল ইতিবাচক ফলাফল অর্জনে সক্ষম হয়েছে।”

অন্যদিকে, রক্ষণশীল সংবাদমাধ্যমগুলো বৈঠকটি নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছে। কায়হান পত্রিকা এটিকে “ইরানের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা” বলে অভিহিত করে বলেছে, “ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের কারণে পরমাণু চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য ইরানকে এখন ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত।”

বৈঠকটি ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। সংস্কারপন্থী শিবির এটিকে “গোপন কূটনীতির সূচনা” হিসেবে দেখছে, যেখানে রক্ষণশীলরা এটিকে ইরানের আত্মনির্ভরশীলতার পরিপন্থী বলে মনে করছে।

ইলন মাস্ক বর্তমানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত “ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি”-র কো-চেয়ার হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। এটি ইরান-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন জটিলতা সৃষ্টি করেছে।