ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাণিজ্যে ধস: ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দর ধু ধু ফাঁকা
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহাকুমার ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে বাণিজ্য কার্যত বন্ধের মুখে। বাংলাদেশে বর্তমান অস্থির পরিস্থিতির কারণে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
আগে প্রতিদিন ঘোজাডাঙ্গা বন্দর দিয়ে প্রায় ৪০০ পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে যেত। বর্তমানে সেই সংখ্যা ১০০ কমে এসেছে। পাশাপাশি, পর্যটকদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় সীমান্ত এলাকার অর্থনীতিতেও বড়সড় প্রভাব পড়েছে।
সীমান্তে বাণিজ্যের সংকট
ঘোজাডাঙ্গা থেকে বাংলাদেশে আগে আদা, পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচালঙ্কা, আলু, শুকনো লঙ্কা এবং জীবনদায়ী ওষুধসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য পাঠানো হত। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে এই পণ্য পাঠাতে অনাগ্রহী হয়ে পড়েছেন।
ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আগে যে পরিমাণ মুনাফা অর্জন করা যেত, এখন সেই মুনাফা অনেকটাই কমে গেছে। এর ফলে ভারতীয় পণ্য রপ্তানিতে ভাটা পড়েছে।
নাগরিকদের যাতায়াতে প্রভাব
বাংলাদেশের অস্থিরতার কারণে সীমান্ত দিয়ে দু’দেশের নাগরিকদের যাতায়াতও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। যেসব পর্যটক দুই থেকে তিন মাস আগে ভিসা করিয়েছিলেন, তারাই এখন সীমিত সংখ্যায় যাতায়াত করছেন। বাংলাদেশি নাগরিকরা, যারা চিকিৎসা বা জরুরি কারণে ভারতে আসতে চাইছেন, তারাও পড়ছেন ভিসা এবং যাতায়াত সমস্যায়।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ক্ষতি
ভারতীয় ব্যবসায়ীদের মতে, ঘোজাডাঙ্গা বা অন্য স্থলবন্দরগুলোর মাধ্যমে রপ্তানির ফলে যে অর্থ আসত, তা এখন কমে যাওয়ায় অর্থনৈতিক ক্ষতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে সীমান্ত অঞ্চলের ব্যবসা এবং বাণিজ্যের উপর চাপ তৈরি হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাণিজ্য এবং যাতায়াত কার্যত বিপর্যস্ত। সীমান্ত এলাকার অর্থনীতি এবং দুই দেশের সম্পর্কের উপর এর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দর, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত, সীমান্ত বাণিজ্য, আদা পেঁয়াজ রপ্তানি, বাংলাদেশ পরিস্থিতি, বসিরহাট সীমান্ত খবর, ভারতীয় ব্যবসায়ী, বাংলাদেশ অর্থনীতি, সীমান্ত পর্যটন সংকট, ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক, বাংলাদেশে রপ্তানি হ্রাস, ঘোজাডাঙ্গা বাণিজ্য, সীমান্ত অর্থনীতি, ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত, আমদানি রপ্তানি সমস্যার খবর, সীমান্ত ব্যবসায় মন্দা, উত্তর ২৪ পরগনা বাণিজ্য, ভারতীয় পণ্য রপ্তানি সংকট।