বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট ও মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব

রাজধানীজুড়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। আমদানি কমে যাওয়া এবং আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্যবৃদ্ধি এই ঘাটতির মূল কারণ।

  1. আমদানি কমেছে:
    • চলতি বছরের অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের আমদানি ২০% কমে গেছে।
    • আমদানিকারক সংস্থাগুলোর ব্যাংক ঋণপত্র (LC) খোলার অনীহা সরবরাহ সংকটকে আরও তীব্র করেছে।
  2. উচ্চ আন্তর্জাতিক মূল্য:
    • বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানিকারকদের লিটারপ্রতি ১০-১৫ টাকা লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে।
  • মিরপুরসহ বিভিন্ন বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রায় অদৃশ্য।
  • যেখানে পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলোর দাম সরকার নির্ধারিত মূল্যের তুলনায় ২০-৩০ টাকা বেশি।
  • সুপারমার্কেটগুলোতে সীমিত বিক্রয় কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

মিরপুরের ভোক্তা আশিকুর রহমান জানান, বোতলজাত তেল কিনতে তাকে একাধিক দোকান ঘুরতে হয়েছে। অনেক খুচরা বিক্রেতা তেল লুকিয়ে রাখছে এবং বেশি দামে বিক্রি করছে।

সরকার সংকট নিরসনে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে:

  1. আমদানির উপর ভ্যাট কমিয়ে ৫% এবং উৎপাদন ও বাণিজ্যিক পর্যায়ে ভ্যাট পুরোপুরি মওকুফ করা হয়েছে।
  2. আমদানি খরচ কমলেও বাজারে এর প্রভাব এখনও পুরোপুরি পড়েনি।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তেল সরবরাহ নিশ্চিত করতে ব্যাংক ঋণপত্র জারি সহজ করা, আমদানি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা এবং বাজার পর্যবেক্ষণ জোরদার করা জরুরি।