সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মৃত্যু

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও শান্তিতে নোবেলজয়ী জিমি কার্টার ১০০ বছর বয়সে মারা গেছেন। স্থানীয় সময় রোববার (২৯ ডিসেম্বর) জর্জিয়ার প্লেইনস শহরে নিজ বাড়িতে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এ খবর নিশ্চিত করেছে জিমি কার্টার সেন্টার।

জন্ম: ১ অক্টোবর ১৯২৪

প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব: ১৯৭৭–১৯৮১ (৩৯তম প্রেসিডেন্ট)

দল: ডেমোক্র্যাট

মৃত্যু: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজনৈতিক জীবন

ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির পর, ১৯৭৬ সালে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডকে পরাজিত করে কার্টার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। দায়িত্ব পালনের সময় তিনি মানবাধিকার, শান্তি প্রতিষ্ঠা, এবং মধ্যপ্রাচ্যের শান্তিচুক্তিতে (ক্যাম্প ডেভিড অ্যাকর্ড) উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন।

দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে রোনাল্ড রিগ্যানের কাছে পরাজিত হন এবং রাজনীতি থেকে অবসরে যান।

হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর, কার্টার মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করেন।

  • ২০০২ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
  • কার্টার সেন্টারের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে রোগ নিরাময়, শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্র প্রচারে কাজ করেছেন।

কার্টার চার সন্তান ও ১১ জন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। তার স্ত্রী রোসালিন কার্টার এক বছর আগে, ২০২৩ সালে মারা যান।

জো বাইডেন: কার্টারকে নীতিবান ও বিশ্বস্ত নেতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প: কার্টারের অবদান স্মরণ করে আমেরিকানদের কৃতজ্ঞতার কথা বলেছেন।

বিল ক্লিনটন: কার্টারকে এক নিঃস্বার্থ সেবক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

জিমি কার্টার একজন মানবিক নেতা এবং গণমানুষের সেবক হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার মৃত্যুতে বিশ্ব হারালো এক মহান নেতা, যিনি সারাজীবন শান্তি ও মানবাধিকারের জন্য কাজ করেছেন।