অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ হিমশিম খাচ্ছে

সারাদেশে ক্রমবর্ধমান নানা অপরাধ বন্ধ এবং মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ছয় মাসের চেষ্টায়ও ভেঙে যাওয়া মনোবল এখনো ফিরে পায়নি পুলিশ।

এ কারণে একের পর এক ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখল, ডাকাতি, মবজাস্টিস, সাইবার ক্রাইম, প্রতারণাসহ নানা অপরাধ মোকাবিলায় সামর্থ্য দিয়ে চেষ্টা করেও অপরাধ দমনে তেমন ভূমিকা পালন করতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকা-ে জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে মানুষ শঙ্কিত।

সামর্থ্য দিয়ে পুলিশ চেষ্টা করলেও অনেক ক্ষেত্রেই এ বাহিনীর সদস্যরা অপরাধী চক্রের কাছে অসহায় হয়ে পড়ছে। যথাযথ ন্যায়বিচারের অভাবে আইন নিজ হাতে তুলে নিচ্ছে মানুষ, ফলে মব জাস্টিস ঘটছে। তুচ্ছ ঘটনায়, সামান্য অপরাধেও মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনায় মানুষের অসহিষ্ণু হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ যুক্তরাষ্ট্রে বিমান-হেলিকপ্টার মুখোমুখি সংঘর্ষ : ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার

আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়া, দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার অভাব এক্ষেত্রে অনেকাংশে দায়ী বলে মনে করেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ক্রমবর্ধমান অপরাধের ঘটনা স্বীকার করছে অন্তর্বর্তী সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশে ছিনতাই, চাঁদাবাজি হচ্ছে এবং যারা করছে তারা ধরাও পড়ছে। জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর আবার তারা এসব করছে, এটা সত্যি কথা। আমরা চেষ্টা করছি যেভাবে হোক এটি কমিয়ে আনার জন্য। কারাগারে জরুরি সেবা হটলাইন নাম্বার ০৯৬১২ উদ্বোধনের পর সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

এদিকে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ছে, ঢাকা শহরে ভীতিকর পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে-সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তাদের আবার ধরে তাড়াতাড়ি আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

পুলিশের স্বল্পতা আছে কিনা জানতে চাওয়া হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, পুলিশের স্বল্পতা নেই হয়তো কাজে আগের মতো উদ্যমটা নেই। তাদের কাজের উদ্যমটা যেন বাড়ানো যায় সেজন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

মাসুদুজ্জামান রাসেল