শেষ বলের নাটকীয়তায় বিপিএলের ফাইনালে চট্টগ্রাম

হারতে হারতে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ২ উইকেটের জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম কিংস। শেষ বলে জয়ের জন্য ৪ রান দরকার ছিল চট্টগ্রামের। ওই বলে বাউন্ডারি মেরে দলকে জিতিয়েছেন আলিস আল ইসলাম। তুলেছেন বিপিএলের ফাইনালে। ৭ ফেব্রুয়ারি শিরোপা লড়াইয়ে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম।

খুলনা টাইগার্স শেষে ভালোর গল্প লেখার পথে ছিল। শুরুর ব্যাটিং বিপর্যয় সামলে শেষের ঝড়ে ৬ উইকেটে ১৬৩ রানের ভালো পুঁজি পায় তারা। বোলিংয়েও বাজে শুরু করে খুলনা। ২ উইকেটে ১০০ রান তুলে ফেলে চট্টগ্রাম কিংস। সেখান থেকে নাসুম আহমেদ ও মুশফিক হাসানের জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফেরে দলটি।

টানা তিন জয় পাওয়া দলটি চতুর্থ জয়ের পথে ছিল। শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য ২২ রান দরকার ছিল চট্টগ্রামের। হাসান মাহমুদ দারুণ বোলিংয়ে দেন ৭ রান। শেষ ওভারে চট্টগ্রামের দরকার ছিল ১৫ রান। তরুণ পেসার মুশফিক হাসান তা আটকাতে পারেননি। ওভারের প্রথম, চতুর্থ ও শেষ বলে চার খেয়ে হেরে যান ম্যাচ।

বিপিএলের দ্বিতীয় এই কোয়ালিফায়ার ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নামে খুলনা। শুরুতে ৪২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বড় ধাক্কা খায়। একে একে সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার ও অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ (২), তিনে নামা অ্যালেক্স রস (০), ওপেনার নাঈম শেখ (১৯) ও আফিফ হোসেন (৮)।

আরও পড়ুনঃ দুর্দান্ত জয়ে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ফাইনাল পর্ব শুরু

ধস সামাল দিতে সেখান থেকে সেট হয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন হেটমায়ার ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। সফলও হন তারা। ৭৩ রানের কার্যকরি এক জুটি দেন দু’জন। অঙ্কন হাত খুলে খেলার চেষ্টা করতেই আউট হন। চলতি বিপিএলে স্লগে দারুণ ব্যাটিং করা অঙ্কন ৩২ বলে ৪১ রান করেন। তিনটি ছক্কার সঙ্গে একটি চার মারেন ডানহাতি এই ব্যাটার। হেটমায়ার ৩৩ বলে ৬৩ রান করেন। চারটি ছক্কার সঙ্গে ছয়টি চারের শট মারেন এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটার।

জবাব দিতে নেমে চট্টগ্রাম ১৬ ও ৩৫ রানে উইকেট হারলেও পাকিস্তানি ওপেনার খাজা নাফি ও হুসেইন তালাত ৭০ রানের জুটি গড়ে দলের জয়ের ভিত্তি গড়ে দেন। তালাত ২৫ বলে পাঁচটি চার ও এক ছক্কায় ৪০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। পরেই ওপেনার নাফি ফিরে যান ৪৬ বলে ৫৭ রান করে। তিনি চারটি চার ও তিন ছক্কা হাঁকান।

ওই ধাক্কা লোয়ারের পাঁচ বোলার নিয়ে সামাল দিতে হিমশিম খায় চট্টগ্রাম। তবে শেষে জয়টা এনে দিয়েছেন আরাফাত সানি ও আলিস ইসলাম। আরাফাত ১৩ বলে ১৮ রান করেন। আলিস ৭ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ১৭ রান যোগ করেন। শেষ ওভারের তৃতীয় বলে রান নিতে গিয়ে আলিস ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন। তার রিটায়ার্ড হার্টে ক্রিজে এসে শরিফুল শেষ ওভারের চতুর্থ বলে চার মারেন। পঞ্চম বলে আউট হয়ে যান। আলিস পুনরায় ক্রিজে ফিরে নাটকের সমাপ্তি টানেন।

মাসুদুজ্জামান রাসেল