প্রতুল মুখোপাধ্যায় বেঁচে থাকবেন যে গানগুলোতে

‘ছোকরা চাঁদ জোয়ান চাঁদ’-এর স্রষ্টা প্রতুল মুখোপাধ্যায় বাংলা গানের গানপ্রেমীদের অন্যতম একজন প্রিয় শিল্পী। ‘আলু বেচো ছোলা বেচো’ গানটি দিয়ে মানুষের স্বপ্নকে না বেচে দেয়ার আহ্বানে তার সুর লক্ষণীয় প্রভাব ফেলেছে।

‘আমি বাংলায় গান গাই’ আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। পাশাপাশি ‘ডিঙা ভাসাও সাগরে’ও অত্যন্ত পছন্দ বাংলা গানপ্রেমীদের কাছে। গান গাওয়া, লেখা, সব ক্ষেত্রেই নিজের প্রতিভার জাত চিনিয়েছেন এ কিংবদন্তি শিল্পী। অল্প বয়স থেকেই কবিতায় সুর দিতেন তিনি।

সংগীতের ওপর প্রথাগত কোনো শিক্ষা না থাকলেও তার শক্তিশালী দখল ছিল এই সংগীতে। নিজের হৃদয় নিঃসৃত আবেগকেই সুর ও কথার মেলবন্ধনে বেঁধে ফেলতেন তিনি। মৃত্যুর আগে হাসপাতালের বিছানায় শুয়েও চিকিৎসকদের গান শুনিয়েছেন। বিভিন্ন দেশের গান থেকে নিজের গানের উপাদান সংগ্রহ করেছেন তিনি। সৃষ্টি করেছেন একের পর এক জনপ্রিয় গান।

আরও পড়ুনঃ মার্ভেল ইউনিভার্সের পরবর্তী অ্যাভেঞ্জার শাহরুখ খান!

তার জীবনের প্রথম অ্যালবাম ‘পাথরে পাথরে নাচে আগুন’ (১৯৮৮) এবং শেষ অ্যালবাম ‘ভোর’ (২০২২)। তাঁর জনপ্রিয় গানের মধ্যে ‘তোমার কি কোনও তুলনা হয়’, ‘সেই মেয়েটি’, ‘ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ’ ইত্যাদি গানগুলোর মতো আরো অনেক জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। ১৯৪২ সালের ২৫ জুন অবিভক্ত বাংলার বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। দেশভাগের সময় সপরিবার ভারতে পাড়ি জমান তিনি।

ছোটবেলা থেকেই নিজের লেখা গানে সুর দিতেন। তার অনেক সৃষ্টির মধ্যে ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানটি বিশেষভাবে সমাদৃত। গানটি ২০১১ সালের মার্চে প্রকাশিত হয়।

প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় অ্যালবামের মধ্যে রয়েছে-‘যেতে হবে’, ‘ওঠো হে’, ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’, ‘তোমাকে দেখেছিলাম’, ‘স্বপনপুরে’, ‘অনেক নতুন বন্ধু হোক’, ‘হযবরল’, ‘দুই কানুর উপাখ্যান’, ‘আঁধার নামে’ ইত্যাদি। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেছেন কিংবদন্তি এই শিল্পী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

মাসুদুজ্জামান রাসেল