এক দিনেই গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪০০ ছাড়াল
গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও ৪০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বহু নারী ও শিশু রয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, আমি ‘ক্ষুব্ধ’।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, নতুন হামলা ‘শুরুমাত্র’ এবং গাজার ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির আলোচনা এখন থেকে ‘গোলাগুলির মধ্যে’ হবে। ইসরায়েল নতুন করে গাজার বিভিন্ন এলাকায় বসতি খালি করার নির্দেশ দিয়েছে, ফলে হাজারো মানুষ ঘর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে।
এদিকে হামাসের মুখপাত্র আবদেল-লতিফ আল-কানু বলেছেন, তারা যুদ্ধবিরতি ও অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য দায়িত্বশীলভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে ইসরায়েলের পূর্ণ অবরোধ ১৭তম দিনে পৌঁছেছে।
হামাসের আরেক মুখপাত্র ওসামা হামদান দাবি করেন, ইসরায়েলের বর্তমান হামলা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ধ্বংসের চেষ্টা।
আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামদান বলেন, ‘যদি তারা মনে করেন যে, এই ধরনের অভিযান চুক্তির শর্ত পরিবর্তন করবে, তবে তারা বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে।’
ওসামা হামদান আরও বলেন, ‘এখন, যখন তারা এই চুক্তি ধ্বংসের চেষ্টা করছে, এটি আমেরিকান ও ইসরায়েলিদের প্রত্যাশিত ফলাফল বয়ে আনবে না।’
আরও পড়ুনঃ গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩২
এছাড়া, গাজার কেন্দ্র ও খান ইউনিসে হামলা অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে খান ইউনিস শহরে এক মা ও তার মেয়ে নিহত হয়েছেন।
ড্রোন ও ভারী অস্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে আরও বিমান হামলার শঙ্কা রয়েছে গাজায়। হাজারো মানুষ সেন্ট্রাল গাজা সিটি ও আশপাশের ভাঙাচোরা ভবনে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে, যা নিরাপত্তার জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করছে।
ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা ও পশ্চিমা বিশ্বের প্রতিক্রিয়ার মধ্যেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বর্বর ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজার ৫৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখ ১২ হাজার ৪১ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, বাস্তব সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ জনের বেশি, কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও হাজারো মরদেহ থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
অপরদিকে, পশ্চিম তীরেও ইসলায়েলি অভিযান তীব্র হয়েছে। ফারখা গ্রাম ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান চালিয়ে ১০ ফিলিস্তিনি গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া নাবলুসের আল-আইন শরণার্থী শিবিরে এক ফিলিস্তিনি যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। হেবরনের দুরা এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে তিনজন আহত হয়েছেন।
>