গরমে রাস্তার শরবত খেলে বাড়বে টাইফয়েডের ঝুঁকি!

রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া লাল-নীল শরবত খেলেই তা থেকে টাইফয়েডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। বিশেষ করে শরবতে যে বরফ মেশানো হয়, তা আসলে বাণিজ্যিক বরফ। এতে এত বেশি রাসায়নিক থাকে যে, তা থেকে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।

এই ধরনের শরবত বা ঠান্ডা পানীয় খেতে বারণ করা হচ্ছে শিশু বা বয়স্কদের। এই জাতীয় পানীয় থেকে বিষক্রিয়াও হতে পারে বলে সতর্ক করছেন চিকিৎসকেরা।

রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া রং মেশানো শরবত অথবা লাচ্ছি বা যেকোনো ঠান্ডা পানীয়েই বাণিজ্যিক বরফ মেশানো হয় অনেক জায়গাতেই। বাণিজ্যিক বরফ যে পানি দিয়ে তৈরি, তা পানযোগ্য নয়। ওই বরফ দিয়ে তৈরি পানীয় খেলে জন্ডিস, টাইফয়েড, পেটের রোগ তো বটেই, নার্ভের অসুখ, কোলন ক্যানসারেরও ঝুঁকি বাড়তে পারে।

আরও পড়ুনঃ রোজা রেখে মাথা ব্যথা এড়াতে করণীয়

মাছ, মাংস সংরক্ষণে যে বরফ ব্যবহার করা হয়, সেগুলি অনেক সময়ে বাড়তি হলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী তা ফেলে দেন। ওই বরফের একটা অংশ বাজারে চলে আসে। এমন বরফের দামও কম। শিশুরোগ চিকিৎসকদের মতে, বাণিজ্যিক বরফ দিয়ে তৈরি শরবত পেটে গেলে টাইফয়েডের ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ ঘটতে পারে। বিষক্রিয়াও হতে পারে। শিশুদের এমন ধরনের পানীয় না খাওয়ানোই ভালো।

এছাড়া এসব বরফে ভারী ধাতু, দূষিত পদার্থ ছাড়াও থাকে বিসফেনল (এক ধরনের রাসায়নিক, যা প্লাস্টিক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়)। এই বিসফেনল শরীরের জন্য বিষ। যাবতীয় বিধিনিষেধ অগ্রাহ্য করে রাস্তার দোকানে বিক্রি হওয়া শরবত, পানীয়েই অবাধে মেশানো হচ্ছে বাণিজ্যিক বরফ। কারণ, এগুলির দাম কম। আর অপরিশোধিত পানি থেকে যেহেতু বরফ তৈরি হচ্ছে, তাই এর থেকে লিভারের রোগ, কিডনির জটিল অসুখও হতে পারে।

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, গরমের দিনে স্কুল থেকে বেরিয়েই হয়তো ছোটরা শরবত খেতে চাইবে বা রাস্তার লাচ্ছি খাওয়ার বায়না করবে। সে সব কিনে না দিয়ে বরং বাড়ি থেকেই লেবুর শরবত বা টাটকা ফলের রস বানিয়ে নিয়ে যান। দই থেকে বাড়িতেই লাচ্ছি বানিয়ে নিন। কোনোভাবেই যেন রাস্তায় বিক্রি হওয়া ঠান্ডা পানীয় এই সময়ে শিশুরা না খায়, সে বিষয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

মাসুদুজ্জামান রাসেল