কূটনীতিককে ব্ল্যাকমেইল করে ৫ মিলিয়ন ডলার নেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল মেঘনার

মডেল মেঘনা আলম কূটনীতিকের কাছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার অর্থ দাবি করেছেন বলে রাজধানীর ধানমন্ডি মডেল থানার মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে। মেঘনা আলম ছাড়াও দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করা হয়েছে। ব্ল্যাকমেইল করে ৫ মিলিয়ন ডলার নেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল তাদের। তবে মামলার এজাহারে ওই কূটনীতিকের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) মামলায় মডেল মেঘনাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত বৃহস্পতিবার সকালে এ আদেশ দেন।

জানা যায়, এ মামলার বাদী ধানমন্ডি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল আলীম। চাঁদাবাজি-প্রতারণার অভিযোগে গত ১৫ এপ্রিল পুলিশ বাদী হয়ে মেঘনা, সমিরসহ অজ্ঞাতনামা দু-তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে।

এদিকে ভাটারা থানায় দায়ের করা আরেকটি চাঁদাবাজির মামলায় ১১ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন মেঘনার পরিচিত ব্যবসায়ী সমির। এই মামলায় তাকে ১২ এপ্রিল পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।

আরও পড়ুনঃ রাজধানীর পৃথক স্থানে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে তিনজন আহত

ধানমন্ডি থানার মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৯ মার্চ ধানমন্ডির একটি রেস্তোরাঁয় একটি গোপন বৈঠক হয়। বৈঠকে মেঘনা, সমিরসহ কয়েক ব্যক্তি অংশ নেন। বৈঠকে কূটনীতিকের কাছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার দাবি ও আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়।

এই গোপন বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করা। আসামিদের এই কার্যক্রমের কারণে আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা পেনাল কোডের ৪২০, ৩৮৫ ও ১০৯ ধারার অপরাধ।

মেঘনাকে ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরদিন বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে আদালত মেঘনাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন। তিনি এখন কারাগারে। সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে মেঘনার আটকের ঘটনা নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।

মাসুদুজ্জামান রাসেল