মুরগির দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে চাল, পেঁয়াজ ও ভোজ্যতেলের

নিত্যপণ্যের বাজারে পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল ও চালের দাম বাড়লেও কমেছে ব্রয়লার মুরগি ও মসুর ডালের দাম। আটা, চিনি, আলু ও মাছ-মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। হালিতে ১ টাকা বেড়ে ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪৫ টাকায়।

এছাড়া একটু একটু করে শাক-সবজির দাম বাড়তে শুরু করেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর কাওরানবাজার, ফকিরাপুল বাজার, কাপ্তান বাজার, মুগদা বাজার ও খিলগাঁও সিটি কর্পোরেশন বাজার থেকে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’র তথ্যমতে, মোটা জাতের স্বর্ণা ও চায়না ইরির দাম বেড়ে প্রতিকেজি ৫০-৫৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে কেজিতে দাম বেড়েছে ২ টাকা। এছাড়া সরু নাজিরশাইল ও মিনিকেট চাল আগের দামে ৭২-৮৫ এবং মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চাল ৫৭-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।

তবে চালের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন দাম বৃদ্ধির এই হার আরও বেশি। কাপ্তান বাজারের চাল বিক্রেতা নূরু মিয়া জানান, কয়েক সপ্তায় বস্তাপ্রতি ১৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। দাম বাড়ার প্রবণতা এখনো অব্যাহত রয়েছে পাইকারি বাজারে। ব্র্যান্ডের সরু চাল প্রতিকেজি ৮৫-৯০ টাকা এবং মোটা জাতের ভাল চাল ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।

আরও পড়ুনঃ চীনের হান্দা ইন্ডাস্ট্রিজ ১৫ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে বাংলাদেশে

দাম বাড়ার ক্ষেত্রে একই অবস্থা বিরাজ করছে পেঁয়াজের বাজারে। মৌসুম শেষ না হতেই প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়। অথচ রমজানে এই পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে খুচরা বাজারে। হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

এ বছর দেশে পেঁয়াজ ও আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়া পেঁয়াজের আমদানিও অব্যাহত আছে। এ অবস্থায় পেঁয়াজের দাম বাড়াটা সহজভাবে নিতে পাচ্ছে না সাধারণ ক্রেতারা। তাঁদের মতে, মাত্র দু’সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে প্রায় ১৫-২০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম যার কোনো ভিত্তি নেই। তবে আলুর বাজারে স্বস্তি রয়েছে।

প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। এছাড়া সয়াবিন তেল নতুন নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিনে ১৪ এবং খোলা সয়াবিনে ১২ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে। কোনো কোনো বিক্রেতা নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ভোজ্যতেল বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে দাম কমে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০-২০০ এবং প্রতিকেজি মসুর ডাল মানভেদে ১১০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।

এদিকে, শীত মৌসুম শেষ হয়েছে আরও আগেই। বাজারে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন ধরনের গ্রীষ্মের সবজি। তবে এসব সবজির দাম তুলনামূলক বেশি। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পটোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাসুদুজ্জামান রাসেল