গরমে এসি ব্যবহারে ৫টি ভুল এড়িয়ে চলুন
কখনও বৃষ্টি, তো কখনও রোদ। গরম না কমার ফলে দিনের একটা বড় সময় আমরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশের মধ্যে কাটাই। এসি নিয়ে অনেকের মধ্যে নানা ভুল ধারণাও প্রচলিত রয়েছে। সেগুলি জানা থাকলে গরমের সময় এসিকে কর্মক্ষম রাখতেও কোনো সমস্যা হয় না।
১) তাপমাত্রা কমানো মানেই ঘর বেশি ঠান্ডা হবে
অনেকেই মনে করেন, এসিকে কম তাপমাত্রায় সেট করলে ঘর দ্রুত ঠান্ডা হয়। কিন্তু কম তাপমাত্রায় সেট করলে ঘর দ্রুত ঠান্ডা হয় না। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ বেশি খরচ হয়। তাই এসিকে সব সময় আরামদায়ক এবং মানানসই তাপমাত্রায় সেট করা উচিত।
২) বড় এসি মানে বেশি ঠান্ডা
এসি বড় হলেই যে ঘর বেশি ঠান্ডা হবে তা নয়। ঘরের বর্গফুট অনুসারে বিভিন্ন ক্ষমতাসম্পন্ন এসি কিনতে পাওয়া যায়। ছোট ঘরে বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন এসি ব্যবহার করলে মেশিনটি বার বার অন/ অফ হতে থাকবে। ফলে ঘরের প্রতিটি কোণ সমান ভাবে ঠান্ডা হবে না। এর ফলে এসির উপরে চাপ পড়বে। অন্য দিকে বিদ্যুতের বিলও বাড়তে থাকবে। এক্ষেত্রে ঘরে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও বেড়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ বর্ষাকালে বেড়াতে গেলে মেনে চলুন কিছু নিয়ম
৩) এসি শুধু বাতাসকে ঠান্ডা করে
এসি শুধু ঘরের বাতাসকেই ঠান্ডা করে না। একই সঙ্গে এসি ঘরের আর্দ্রতা কমাতে সাহায্য করে। জলীয় বাষ্প দূর করে ঘরের বাতাসের গুণমানও বজার রাখতে সাহায্য করে এসি। ঘরের আর্দ্রতা ঠিক না থাকলে এসির উপরে চাপ সৃষ্টি হয়। ফলে বিদ্যুতের খরচও বাড়তে থাকে।
৪) এয়ার ফিল্টার পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই
অনেকেরই ধারণা, এসির ফিল্টার না বদলালেও চলে। ফিল্টার ঘরের বাইরে থেকে ধুলোবালি এবং অন্যান্য ক্ষতিক্ষারক উপাদানকে ভিতরে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। সময়ের সঙ্গে ফিল্টারের উপরে আস্তরণ জমা হতে শুরু করে। ফিল্টার যদি নিয়মিত পরিষ্কার না করা হয়, তা হলে এসির উপরেও প্রতিনিয়ত চাপ বাড়তে থাকে। সময়ের সঙ্গে যন্ত্রটির কার্যক্ষমতাও কমতে থাকে।
৫) এসির গ্যাস চার্জের প্রয়োজন নেই
এসির মধ্যে একটি বিশেষ গ্যাস থাকে, যাকে রেফ্রিজারেন্ট বলা হয়। ঘরের ভিতরের উষ্ণ বাতাসকে বাইরে বের করে ঘরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এটি। সাধারণত এক বছর অন্তর (ব্যবহারের উপরে নির্ভর করে) এই গ্যাসটি নতুন করে এসিতে ভরতে হয়। অন্যথায় এসির কম্প্রেসরের উপরে চাপ সৃষ্টি হয়। এর ফলে এসি খারাপও হতে পারে।
>